Monday, December 28, 2015

সত্যানুসরণ

সূচনা
পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকুলচন্দ্রের অন্যতম প্রিয়ভক্ত অতুলচন্দ্র ভট্টাচার্য্য। কর্মজীবন তাকে পাবনা থেকে দূরে নিয়ে যাবে। বিরহ-বিচ্ছেদকাতর ভক্ত প্রেমাশ্রু-ধারায় প্রার্থনা করল, নিরন্তর দিব্য ভাবধারায় অনুপ্রাণিত থাকতে পারে এমনতর শ্রীহস্তলিখিত অমৃত-নির্দ্দেশ! বাংলা ১৩১৬ সালে মাত্র ২২বৎসর বয়সে শ্রীশ্রীঠাকুর এক নিশায় লিপিবদ্ধ করে দিলেন তাঁর অমৃত-নিষ্যন্দী স্বতঃউৎসারী বাণী। ভক্তের প্রির্থনা নামিয়ে নিয়ে এল পৃথিবীর বুকে মন্দাকিনীরর পুন্যধারা যা' সন্জীবিত ক'রে রাখবে তাকে এবং যুগ যুগ ধরে প্রতিটি মানুষকে।

Friday, June 19, 2015

পৌষ্যপর্ব্ব-জনমেজয় শাপ | সোমশ্রবা ঋষির উপখ্যান | আয়োধধৌম্য ও আরুণিবৃত্তান্ত | উপমন্যু উপাখ্যান | বেদ ঋষি উতঙ্ক-বৃত্তান্ত | জনমেজয়ের সর্পযজ্ঞ প্ররোচনা

তৃতীয় অধ্যায়
পৌষ্যপর্ব্ব-জনমেজয় শাপ
উগ্রশ্রবাঃ কহিলেন, কুরুক্ষেত্রে পরীক্ষিতপুৎত্র রাজা জনমেজয় ভ্রাতৃগণ সমভিব্যাহারে এক দীর্ঘ-সত্র [দীর্ঘকালব্যাপী যজ্ঞ] অনুষ্ঠান করিতেছেন। তাঁহার তিন সহোদর– শ্রুতসেন, উগ্রসেন ও ভীমসেন। তাঁহাদিগের যজ্ঞানুষ্ঠানকালে একটা কুক্কুর তথায় উপস্থিত হইল। জনমেজয়ের ভ্রাতৃগণ ক্রোধান্ধ হইয়া তাহাকে প্রহার করিলে সে রোদন করিতে করিতে মাতৃসন্নিধানে গমন করিল। সরমা তাহাকে অকস্মাৎ রোদন করিতে দেখিয়া কহিল, “তুমি কেন কাঁদিতেছ?

Wednesday, June 17, 2015

সমন্তপঞ্চকোপাখ্যান | অক্ষৌহিণী-পরিমাণ | পর্ব্বসংগ্রহ | শ্লোকসংখ্যা

সমন্তপঞ্চকোপাখ্যান
ঋষিগণ কহিলেন, “হে সূতনন্দন! আমরা ভারতের অনুক্রমণিকা শুনিলাম, এক্ষণে সমন্তপঞ্চক নামক যে তীর্থের উল্লেখ করিয়াছ, তাহার যাহা কিছু বর্ণনীয় আছে সমুদয় শ্রবণ করাইয়া আমাদিগকে চরিতার্থ কর।” ঋষিদিগের এইরূপ প্রার্থনাবাক্যে সন্তুষ্ট হইয়া অতি শিষ্টপ্রকৃতি সৌতি কহিতে লাগিলেন, হে ব্রাহ্মণগণ! আমি আপনাদিগের সম্মুখে সমন্তপঞ্চক তীর্থের বৃত্তান্ত ও অন্যান্য কথা প্রসঙ্গক্রমে সমুদয় কীর্ত্তন করিতেছি, অবধান করুন।
অদ্বিতীয় বীর পরশুরাম ত্রেতা ও দ্বাপর যুগের সন্ধিতে পিতৃবধ-বার্ত্তা শ্রবণ করিয়া ক্রোধপরায়ণ হইয়া এই পৃথিবীকে একবিংশতিবার নিঃক্ষৎত্রিয়া করেন। তিনি স্ববিক্রম-প্রভাবে নিঃশেষে ক্ষৎত্রিয়কুল উৎসন্ন করিয়া সেই সমস্তপঞ্চকে শোণিতময় পঞ্চহ্রদ প্রস্তুত করেন। শুনিয়াছি, তিনি রোষপরবশ হইয়া সেই হ্রদের রুধির দ্বারা পিতৃলোকের তর্পণ করিয়াছিলেন। অনন্তর ঋচীক প্রভৃতি পিতৃগণ তথায় আগমন করিয়া পরশুরামকে কহিলেন, “হে মহাভাগ রাম!

অনুক্রমণিকাধ্যায় – নৈমিষারণ্যে সূতের আগমন | সৃষ্টিবর্ণন | ভারতলেখনার্থ গণেশের স্মরণ | ধৃতরাষ্ট্রাদির জন্ম | মহাভারতের সংক্ষিপ্তাসার | ধৃতরাষ্ট্রের বিলাপ | ধৃতরাষ্ট্রের প্রতি সান্ত্বনা | মহাভারত প্রশংসা ।

০১.অনুক্রমণিকাধ্যায় –

নৈমিষারণ্যে সূতের আগমন |
সৃষ্টিবর্ণন |
ভারতলেখনার্থ গণেশের স্মরণ |
ধৃতরাষ্ট্রাদির জন্ম |
মহাভারতের সংক্ষিপ্তাসার |
ধৃতরাষ্ট্রের বিলাপ |
ধৃতরাষ্ট্রের প্রতি সান্ত্বনা |
মহাভারত প্রশংসা

জগন্নাথের কথা——-

জগন্নাথের স্নানযাত্রার পর মন্দির পনরো দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকে।জগন্নাথের জ্বর হয়। পনরো দিন পর মন্দির খোলা হয়। নয়নকল উৎসবে নয়ন খুলবে। জগন্নাথকে সাজানো হয়। জগন্নাথের স্নান, জগন্নাথের জ্বর, এছাড়া অনেক কথা আছে। আমি কিছুটা জানি তা লিখছি।
শ্রীক্ষেত্র পুরী হল মর্ত্যের বৈকুন্ঠ, দ্বারকা। পুরী মন্দিরের চারটা দরজা। অশ্ব,হস্তি, ব্যাঘ্র, সিংহ। অশ্ব-অর্থ, হস্তি-মোক্ষ,ব্যাঘ্র-কাম, সিংহ-ধর্ম। জগন্নাথ সিংহ দরজা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করে। মহাপ্রভুও এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেন জগন্নাথ দর্শনে। হস্তি দরজা দিয়ে জগন্নাথ বের হয় সমাধিতে যাওয়ার জন্য। দরজা বন্ধ থাকে সবসময়। শুধু জগন্নাথ সমাধিতে যায় এই দরজা দিয়ে।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি

শ্রীকৃষ্ণ হলেন বিষ্ণুর অবতার। তার পবিত্র জন্মতিথিকে বলা হয় জন্মাষ্টমী। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রাচীন ধর্মীয় উৎসব। দিবসটিকে কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তীসহ বিভিন্ন নামেও ডাকা হয়। শ্রীকৃষ্ণকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তারা বিশ্বাস করেন, পৃথিবী থেকে দুরাচারী দুষ্টদের দমন আর সজ্জনদের রক্ষার জন্যই এ মহাবতার স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। ধর্মগ্রন্থ গীতাও সেই সাক্ষ্য দেয়।
হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হলে জন্মাষ্টমী পালিত হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো একসময় দিনটি পড়ে। এবার বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে ১৭ আগস্ট।

Tuesday, June 16, 2015

সনাতন বা হিন্দু ধর্মে সতীদাহ প্রথা সৃষ্টির ইতিহাস

সমস্ত প্রথা রীতিনীতি ও যুগ বিশেষের আইন-কানুনের পিছনে থাকে ঐতিহাসিক ঘটনাবলী । ইতিহাস বাদ দিয়ে তার বিচার করলে অবিচার করা হয় তাই সতীদাহ প্রথার বিষয়ে বলতে গেলে পূর্বাপর কিছু অবস্থা না বললে তা বুঝা কঠিন হবে বলেই সেই সময়ের অবস্থার অবতারনা করতে হচ্ছে । ভারতের ইতিহাস আধুনিক কালের মত লিপিবদ্ধ করা নাই । ভারতের ও হিন্দু ধর্মের ইতিহাস জানতে হলে সেই সময়ের ধর্ম ও সাহিত্য গ্রন্থ কিছু স্থাপনা ও প্রত্নতাত্মিক নিদর্শনের উপরে নির্ভর করতে হয় ।

কল্কি অবতার


হিন্দুধর্মের একজন অবতার যিনি কলিযুগে মানব সমাজের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হবেন। কল্কি হচ্ছেন ভগবান বিষ্ণুর সর্বশেষ রূপ। হিন্দু ধর্মশাস্ত্র পুরাণ থেকে জানা যায় কল্কি অবতার সাদা ঘোড়ার পিঠে খোলা তরবারী হাতে আবির্ভূত হবেন। কল্কি অবতার কলি যুগের অবসান ঘটিয়ে সত্য যুগ শুরু করবেন।

একাদশী পালনের পদ্ধতি

একাদশীতে পাঁচ প্রকার
রবিশস্য গ্রহণ করতে নিষেধ
করা হইয়াছেঃ ১. ধান জাতীয় সকল প্রকার
খাদ্য যেমন - চাউল, মুড়ি,
চিড়া, সুজি, পায়েস, খিচুড়ি,
চাউলের পিঠা, খৈ ইত্যাদি।

বেদ-এ গোহত্যা এবং গোমাংস খাওয়া সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ ।

বেদ হিন্দুদের আদি . ধর্ম গ্রন্থ । .
বেদে গোহত্যা এবং গোমাংস খাওয়া সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ।
এটা হিন্দু সমাজ মেনে চলে কঠোর ভাবে।

Sunday, June 14, 2015

এই প্রনাম মন্ত্রগুলো জানেন তো ???

☆★ শ্রীকৃষ্ণ প্রনাম ★☆
হে কৃষ্ণ করুণা সিন্ধু দীনবন্ধু জগৎপথে। গোপেশ গোপীকা কান্ত রাধা কান্ত নমহস্তুতে ।। ১
নম ব্রহ্মণ্য দেবায় গো ব্রহ্মণ্য হিতায় চ। জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় বাসুদেবায় নমো নমঃ ।। ২

মা সরস্বতী প্রনাম মন্ত্রঃ

নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।

Sunday, May 17, 2015

পষ্ণতত্ত মন্ত্রের তাত্‍পর্যঃ

   শক্তি শ্রীগদাধর প্রভু এবং তাঁর তটস্থা শক্তি শ্রীবাস প্রভু ।

******রাম কথা*****

ঋষি বিশ্বেশ্রবা আররাক্ষসী
নিকষার পুত্র ছিলেন রাক্ষসরাজ
রাবণ।রাবণ একাধারে ব্রহ্মা
ওশিবকে প্রসন্ন করে বরদান লাভকরে
অত্যাচারী হয়ে উঠে।রাবণ

সরস্বতী মায়ের বাহন শ্বেতহংস হওয়ার কারনঃ

মা হলেন জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। সাধারনত সরস্বতী মায়ের বাহন শ্বেতহংস। হাঁস অসারকে ফেলে সার গ্রহণ করে।

শিবলিঙ্গ কি ও কেন?



লিঙ্গ শব্দের আমরা শুধু একটি অর্থ জানি তা হলো জননেন্দ্রিয় এবং ব্যকরণগত অর্থ হলো পুংস্তত্ব বা স্ত্রীত্ব জ্ঞাপক অর্থ। লিঙ্গ শব্দের যে আরো অর্থ হতে পারে তার কোন চিন্তা আমরা করি না। লিঙ্গ শব্দের আরেকটি অর্থ হলো সূক্ষ দেহ।

প্রশ্নঃ নমস্কার কি ?




উত্তরঃ ডঃ মহানামব্রত ব্রহ্মচারী দ্বিতীয় বিশ্ব ধর্ম মহাসম্মেলনে(যথাসম্ভব ১৯৩৩ সালে) যোগ দিতে গিয়েছিলেন তখন। একে তো ব্রম্মচারী বলে তার পরনের পোশাক অদ্ভুত, তার উপর বিভিন্নধর্মী সবাইকে উদ্দেশ্য করে তিনি নমস্কার জ্ঞাপন করলেন সনাতনী ভঙ্গিতে 'মাথায় ও বুকে হাত ঠেকিয়ে'। তখনি সবাই চিৎকার করে উঠল,

প্রশ্নঃ মা দুর্গার গমন ও আগমন বাহনগুলোর ফলাফল কি?


উত্তরঃ মায়ের সাধারনত গমন ও আগমনে চারটি বাহন দেখা যায়।
১)গজ বা হাতি,
২)ঘোটক বা ঘোড়া,
৩)নৌকা,
৪)দোলা বা পালকি।

গনেশের বিভিন্ন নাম ---


•অবিঘ্নেশ্বর→অবিঘ্নের ঈশ্বর
•অম্বিকানন্দন→অম্বিকার (দুর্গা) নন্দন (পুত্র)
•অম্বিকাসূত→অম্বিকার (দুর্গা) সূত (পুত্র)

পঞ্চবাহনের সঙ্গ-অনুষঙ্গ

দেবীবাহিনীর প্রধান আকর্ষণ দুর্গা ও তাঁর সন্তানেরা। কিন্তু তাঁদের বাহনেরা কি আকর্ষণীয়? প্রত্যেকের পাশে এমন সব প্রাণী, তাদের চরিত্র দিয়ে যেন জোড় মেলানো যায় না। কিন্তু দুর্গাপূজার লোককাহিনিতে প্রত্যেকের বাহন নিয়েই বিভিন্ন কার্যকারণ হাজির করা হয়েছে।

আমরা কেন মূর্তি বা প্রতিমা পূজা করি ?


প্রশ্নটি করলে আমরা উত্তর দিতে পারি না। এ আমাদের দুর্ভাগ্য! যুধিষ্ঠির মহারাজকে ধর্মরূপী যক্ষ প্রশ্ন করেছিল- সবচেয়ে চঞ্চল কী
যুধিষ্ঠির মহারাজ উত্তর মন।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায়ও বলা হয়েছে- ‘চঞ্চলং হি মনঃ কৃষ্ণ প্রমাথি বলবদ্দৃঢ়ম্।

আত্মা

শ্রীমদ্ভগবদগীতায় (২.২০) বলা হয়েছে
ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিত্‍
নায়ং ভূত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ ।
অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো
ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ।।

সনাতন হিন্দু সংস্কৃতির শ্রেষ্ঠ দান কি? পূজা কি?? পূজা কি বৈদিক সাধনা??


উত্তরঃ

•••দশবিধ সংস্কার•••


মনুসংহিতা, যাজ্ঞবাল্ক সংহিতা পরাশর সংহিতা, প্রভূতি স্মৃতিশাস্ত্রে দশকর্মের বিধি-বিধান বর্ণিত হয়েছে।
•গর্ভাধান -
পিতা-মাতার দেহে ও মনে যেসব দোষ- গুণ থাকে সেগুলো সন্তানের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়। এটা দেখে আর্য- ঋষিগণ গর্ভাধান বিধি প্রবর্তন করেছেন। শুভলগ্নে সন্তানের জন্মদানের জন্য যে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান তাকে গর্ভাধান।
•পুংসবন-

সিঁদুর কী এর ব্যবহার এবং ইতিহাস।

 সিঁদুর:
সিঁদুর (বা সিন্দূর) একপ্রকার রঞ্জক
পদার্থ। এটি সাধারণত মেয়েদের
সিঁথিতে একপ্রান্ত থেকে অপর
প্রান্ত অবধি প্রসারিত
টীকা বা কপালে টিপের
আকারে ব্যবহৃত হয়।

সূর্যকে প্রণাম মন্ত্র

ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশংকাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহষ্মি দিবাকরম্॥
.
গোবিন্দ প্রণাম মন্ত্র : ওম ব্রহ্মাণ্ড দেবায় গোব্রাহ্মণ হিতায় চঃ জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমঃ॥

গীতার বানী - ১

গীতাতে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ বলেছেনÑ “আমি জন্মহীন, অব্যয় আত্মা, ভূতগণের ঈশ্বর (শাসক, নিয়ন্তা স্রষ্টা) হয়েও নিজ প্রকৃতিকে (অনির্বচনীয় মায়াশক্তিকে) আশ্রয় করে আত্মমায়ায় জন্মগ্রহণ করি।” এ ছাড়া তিনি তাঁর জন্ম নিয়ে আরও বলেছেন, তাঁর জন্ম সাধারণ মানুষদের মতো নয় এবং তাঁর মৃত্যুও সাধারণ মানুষের মতো নয়।মানুষ জন্মগ্রহণ করে এবং মারা যায় কিন্তু আমি জন্মরহিত হয়েও আবির্ভূত হই এবং অবিনশ্বর হয়েও অন্তর্ধান করে থাকি। আবির্ভূত হওয়া এবং অন্তর্হিত হওয়া Ñ দু’টিই আমার অলৌকিক লীলা।

বিদ্যাপতির গান-বৈষ্ণব পদাবলী

বহুত মিনতি করি তোয়(মাধব)।।
দেই তুলসী তিল এ দেহ সমর্পিলুঁ
দয়া জনু ছোড়বি মোয় মাধব
বহুত মিনতি করি তোয়(মাধব)।।