Monday, December 28, 2015

সত্যানুসরণ

সূচনা
পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকুলচন্দ্রের অন্যতম প্রিয়ভক্ত অতুলচন্দ্র ভট্টাচার্য্য। কর্মজীবন তাকে পাবনা থেকে দূরে নিয়ে যাবে। বিরহ-বিচ্ছেদকাতর ভক্ত প্রেমাশ্রু-ধারায় প্রার্থনা করল, নিরন্তর দিব্য ভাবধারায় অনুপ্রাণিত থাকতে পারে এমনতর শ্রীহস্তলিখিত অমৃত-নির্দ্দেশ! বাংলা ১৩১৬ সালে মাত্র ২২বৎসর বয়সে শ্রীশ্রীঠাকুর এক নিশায় লিপিবদ্ধ করে দিলেন তাঁর অমৃত-নিষ্যন্দী স্বতঃউৎসারী বাণী। ভক্তের প্রির্থনা নামিয়ে নিয়ে এল পৃথিবীর বুকে মন্দাকিনীরর পুন্যধারা যা' সন্জীবিত ক'রে রাখবে তাকে এবং যুগ যুগ ধরে প্রতিটি মানুষকে।

মুদ্রিত 'সত্যানুসরণ' বাংলা ১৩২৫ সাল থেকে বহন করে চলেছে ঐ শাশ্বত মহাবাণী।


অনুতাপ কর; কিন্তু স্বরন রেখো যেন পুনরায় অনুতপ্ত হতে না হয়।
যখনই তোমার কুকর্মের জন্য তুমি অনুতপ্ত হবে, তখনই পরমপিতা তোমাকে ক্ষমা করবেন, আর ক্ষমা হলেই বুঝতে পারবে, তোমার হৃদয়ে পবিত্র সান্ত্বনা আসছে, তা হলেই তুমি বিনীত, শান্ত ও আনন্দিত হবে।
যে অনুতপ্ত হয়েও পুনরায় সেই প্রকার দুষ্কর্মে রত হয়, বুঝতে হবে সে সত্বরই অত্যান্ত দুর্গতিতে পতিত হবে।
শুধু মুখে মুখে অনুতাপ অনুতাপই নয়, ও আরোও অন্তরে অনুতাপ আসার অন্তরায়। প্রকৃত অনুতাপ এলে তার সমস্ত লক্ষনই অল্পবিস্তর প্রকাশ পায়।
[সত্যানুসরণ: ৯/১০]

জগতে মানুষ যত কিছু দুঃখ পায় তার অধিকাংশই কামিনী কাঞ্চনে আসক্তি থেকে আসে, ও দুটো থেকে যত দুর সরে থাকা যায় ততই মঙ্গল।
ভগবান শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব সবাইকে বিশেষ করে বলেছেন, কামিনী কাঞ্চন থেকে তফাৎ তফাৎ খুব তফাৎ থাক।
কামিনী থেকে কাম বাদ দিলেই ইনি মা'হয়ে পড়েন। বিষ অমৃত হয়ে গেল। আর মা মা-ই, কামিনী নয়কো
'মা'র শেষে 'গী' দিয়ে ভাবলেই সর্ব্বনাশ। সাবধান! মাকে মাগী ভেবে মর না।
প্রত্যেকের মা-ই জগজ্জননী। প্রত্যেক মেয়ই নিজের মায়ের বিভিন্ন রুপ, এমনতর ভাবতে হয়।
মাতৃভাব হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত না হলে স্ত্রীলোককে ছুঁতে নেই। যত দুরে থাকা যায় ততই ভাল; মুখদর্শন না করা আরো ভাল।
আমার কামক্রোধাদি গেল না গেল না, গেল না- বলে চীৎকার পাড়লে কখনই তারা যায় না। এমন কর্ম্ম, এমন চিন্তা, অভ্যাস করে নিতে হয় যাতে কামক্রোধাদির গন্ধও নেই- মন যাতে ও-সব ভুলে যায়।
এমন কামক্রোধাদির ভাব না এলে, কী করে তারা প্রকাশ পাবে? উপায়-উচ্চতর উদারভাবে নিমজ্জিত থাকা।
সৃষ্ঠিতত্ব, গণিতবিদ্যা, রসাৃয়নবিদ্যা ইত্যাদির আলোচনায় কাম-রিপুর দমন হয়।
কামিনী -কাঞ্চন-সম্বন্ধীয় যে কোন রকম আআলোচনাই ওতে আসক্তি এনে দিতে পারে। ওসব আলোচনা থেকে যত দূরে থাকা সম্ভব দূরে থাকাই ভাল।
[সত্যানুসরণ ১০/১১]

সঙ্কোচই দুঃখ, আর প্রসারনই সুখ। যাতে হৃদয়ে দুর্ব্বলতা আসে, ভয় আসে-তাতে আনন্দের খাঁকতি--আর তাই দুঃখ।
চাওয়াটা না -পাওয়াই দুঃখ। কিছু চেয়ো না। সব অবস্থায় রাজি থাক, দুঃখ তোমার কি করবে?
দুঃখ কারো প্রকৃতিগত নয়কো তাকে ইচ্ছে করলেই তাড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।
পরমপিতার কাছে প্রার্থণা কর- 'তোমার ইচ্ছাই মঙ্গল; আমি জানি না, কিসে আমার মঙ্গল হবে। আমার ভিতরে তোমার ইচ্ছাই পূর্ন হোক। আর, তার জন্য তুমি রাজি থাকো- আনন্দে থাকবে, দুঃখ তোমাকে স্পর্শ করবে না। কারো দুঃখের কারন হয়ো না, কেউ তোমার দুঃখের কারন হবে না।
দুঃখ এক রকম ভাব, সুখও এক রকম ভাব। অভাবের বা চাওয়ার ভাবটাই দুঃখ। তুমি জগতের হাজার করেও দুঃখ নষ্ট করতে পারবে না-যতখন তুমি হৃদয় থেকে ঐ অভাবের ভাবটা কেড়ে না নিচ্ছ।
আর, ধর্মই তা'করতে পারে।
[সত্যানুসরণ ১১/১২]

যদি সাধনায় উন্নতি লাভ করতে চাও, তবে কপটতা ত্যাগ কর।
কপট ব্যাক্তি অন্যের নিকট সুখ্যাতির আশায় নিজেকে নিজেই প্রবঞ্চনা করে, অল্প বিস্বাসের দরুন অন্যের প্রকৃত দান হতেও প্রবঞ্চিত হয়।
তুমি লাখ গল্প কর, কিন্তু প্রকৃত উন্নতি না হলে তুমি প্রকৃত আনন্দ কখনই লাভ করতে পারবে না।
কপটাশয়ের মুখের কথার সঙ্গে অন্তরের ভাব বিকশিত হয় না, তাই আনন্দের কথাতেও মুখে নীরসতার চিহ্ন দৃষ্ট হয়; কারণ, মুখ খুললে কী হয়, হৃদয়ের ভাবের স্ফুর্তি হয় না।
অমৃতময় বারি কপটের নিকটের নিকট তিক্ত লবণময়, তীরে যাইয়াও তার তৃষ্ণা নিবারিত হয় না।
সরল ব্যাক্তি ঊদ্ধদৃষ্টিসম্পন্ন চাতকের মত। কপটী নিম্নদৃষ্টিসম্পন্ন শকুনের মত। ছোট হও, কিন্তু লক্ষ্য উচ্চ হোক্ ; বড় এবং উচ্চ হয়ে নিম্নদৃষ্টিসম্পন্ন শকুনের মত হওয়ায় লাভ কী?
কপট হয়ো না, নিজে ঠ'ক না, আর অপরকে ঠকিও না।
[সত্যানুসরণ ১২/১৩]


এটা খুবই সত্য কথা যে, মনে যখনই অপরের দোষ দেখবার প্রবৃত্তি এসেছে তখনই ঐ দোষ নিজের ভিতর এসে বাসা বেঁধেছে। তখনই কালবিলম্ব না করে ওই পাপপ্রবৃত্তি ভেঙ্গেচুরে ঝেঁটিয়ে সাফ্ করে দিলে তবে নিস্তার, নইলে সব নষ্ট হয়ে যাবে।
তোমার নজরে যদি অন্যের কেবল কু-ই দেখে, তবে তুমি কখনই কাউকে ভালবাসতে পারবে না। আর যে সৎ দেখতে পারে না সে কখনই সৎ হয় না।
তোমার মন যত নির্ম্মল হবে, তোমার চক্ষু তত নির্ম্মল হবে,,আর জগৎটা তোমার নিকট নির্ম্মল হয়ে ভেসে উঠবে।
তুমি যাই দেখ না কেন, অন্তরে সহিত সর্ব্বাগ্রে তার ভালটুকুই দেখতে চেষ্টা কর, আর এই অভ্যাস তুমি মজ্জাগত করে ফেল।
তোমার ভাষা যদি কুৎসা-কলঙ্কজড়িত হয়ে থাকে, অপরের সুখ্যাতি করতে না পারে, তবে যেন কারো প্রতি কোনও মতামত প্রকাশ না করে। আর, মনে মনে তুমি নিজ স্বভাবকে ঘৃণা করতে চেষ্টা কর, এবং ভবিষ্যতে কুৎসা-নরগ ত্যাগ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হও।
পরনিন্দা করাই পরের দোষ কুড়িয়ে নিয়ে নিজে কলঙ্কিত হওয়া; আর, পরের সুখ্যাতি করা অভ্যাসে নিজের স্বভাব অজ্ঞাতসারে ভাল হয়ে পড়ে।
তাই বলে কোন স্বার্থবুদ্ধি নিয়ে অন্যের সুখ্যাতি করতে নেই। সে তো খোসামোদ। সে ক্ষেত্রে মন-মুখ প্রায়ই এক থাকে না। সেটা কিন্তু বড়ই খারাপ, আর তাতে নিজের স্বাধীন মতপ্রকাশের শক্তি হাড়িয়ে যায়।
[সত্যানুসরণ ১৪-১৫]

যার উপর যা কিছু সব দাঁড়িয়ে আছে তাই ধর্ম, আর তিনিই পরমপরুষ।
ধর্ম কখনই বহু হয় না, ধর্ম একই আর তার কোন প্রকার নেই।
মত বহু হতে পারে, এমন কি যত মানুষ তত মত হতে পারে, কিন্তু তাই বলে ধর্ম বহু হতে পারে না।
হিন্দু ধর্ম, মুসলমানধর্ম, খৃষ্টানধর্ম, বৌদ্ধধর্ম ইত্যাদি, আমার মতে ভুল, বরং ও-সবগুলি মত।
কোন মতের সঙ্গে কোন মতের প্রকৃতপক্ষে কোন বিরোধ নেই, ভাবের ভিন্নতা, রকমফের-এটাকেই নানাপ্রকারে একরকম অনুভব!
সব মতই সাধনা বিস্তারের জন্য, তবে তা নানাপ্রকারে হতে পারে; আর যতটুকু বিস্তারে যা হয় তাই অনুভুতি, জ্ঞান। তাই ধর্ম অনুভুতির উপর।
[সত্যানুসরণ: ১৫-১৬]

যদি ভাল চাও তো জ্ঞানাভিমান ছাড়, সবার কথাই শোন; আর যা তোমার হৃদয়ের বিস্তারের সাহায্য করে তাই কর।
জ্ঞানাভিমান জ্ঞানের যত অন্তরায় আর কোন রিপু তত নয়।
যদি শিক্ষা দিতে চাও তবে কখনো শিক্ষক হতে চেয় না। আমি শিক্ষক, এই অহংকারই কাউকে শিখতে দেয় না।
অহংকে যত দুরে রাখবে তোমার জ্ঞানের বা দর্শনের পাল্লা তত বিস্তার হবে।
অহংটা যখনই মিলিয়ে যায়, জীব তখনই সর্ব্বগুন-সম্পন্ন-নির্গুন হয়।
[সত্যানুসরণ : ১৬]

যদি পরিক্ষক হিসেবে সেজে অহংকার নিয়ে সদগুরু কিংবা প্রেমি সাধুগুরুকে পরিক্ষা করতে যাও তবে তুমি তাতে তোমাকেই দেখবে, ঠ'কে আসবে।
সদগুরুকে পরিক্ষা করতে হলে তার নিকট সঙ্কীর্ণ -সংস্কারবিহীন হয়ে, ভালবাসার হৃদয নিয়ে, দীন এবং যতদুর সম্ভব নিরহংকার হয়ে যেতে পারলে তার দয়ায় সন্তুষ্ট হওয়া যেতে পারে।
তাঁকে অহং এর কষ্টিপাথরে কষা যায় না, কিন্তু তিনি প্রকৃত দীনতারুপ ভেড়ার শিংঙে খন্ডবিখন্ড হন।
হীরক যেমন কয়লা প্রভূতি আবর্জনায় থাকে, উত্তমরুপে পরিষ্কার না করলে তার জ্যোতি বেরোয় না, তিনি তো তেমনি সংসারে অতি সাধারন জীবের মত থাকেন, কেবল প্রেমের প্রক্ষালনেই তার দীপ্তিতে জগৎ উদ্ভাসিত হয়। প্রেমীই তাকে ধরতে পারে। প্রেমীর সঙ্গ কর, সৎসঙ্গ কর, তিনি আপনিই প্রকট হবেন।
অহংকারীকে অহংকারী পরীক্ষা করতে পারে। গলিত অহংকে কি করে সে জানতে পারবে? তার কাছে একটা কিম্ভুত কিমাকার যেমন অজমূর্খরের কাছে মহাপন্ডিত।
[সত্যানুসরণ: ১৭-১৮]


সত্যদর্শীর আশ্রয় নিয়ে স্বাধীনভাবে চিন্তা কর এবং বিনয়ের সহিত স্বাধীন মত প্রকাশ কর। বই পড়ে বই হয়ে যেয়ো না, তার Essence (সার) কে মজ্জাগত করতে চেষ্টা কর। Pull the husk to draw the seed. (তুষটা ফেলে শস্যটা নিতে হয়)।
উপর-উপর দেখেই কিছু ছেড়ো না বা কোন মত প্রকাশ করো না। কোন কিছুর শেষ না দেখলে তার সম্বন্ধে জ্ঞানই হয় না, আর না জানলে তুমি তার বিষয় কী মত প্রকাশ করবে?
যাই কেন কর না , তার ভিতর সত্য দেখতে চেষ্টা কর। সত্য দেখা মানেই তার আগাগোড়া জানা, আর তাই জ্ঞান।
যা তুমি জান না, এমন বিষয়ে লোককে উপদেশ দিতে যেয়ো না।
[সত্যানুসরণ :১৮]

নিজের দোষ যেনেও যদি তুমি তা ত্যাগ করতে না পার, তবে কোন মতেই তা সমর্থন করে অন্যের সর্বনাশ করো না।
তুমি যদি সৎ হও, তোমার দেখাদেখি হাজার হাজার লোক সৎ হয়ে পড়বে। আর যদি অসৎ হও, তোমার দূর্দ্দশা জন্য সমবেদনা প্রকাশের কেউই থাকবে না; কারণ, তুমি অসৎ হয়ে তোমার চারদিকই অসৎ করে ফেলেছ।
তুমি ঠিক ঠিক যেনো যে, তুমি তোমার নিজ পরিবারের, দশের এবং দেশের বর্তমান ও ভবিষতের জন্য দায়ী।
নাম যশের আশায় কোন কাজ করতে যাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু কোন কাজ নিঃস্বার্থভাবে করতে গেলেই কায্যের অনুরুপ নাম যশ তেমার সেবা করবেই করবে।
নিজের জন্য যাই করা যায় তাই সকাম, আর অন্যের জন্য যা করা তাই নিষ্কাম। কারো জন্য কিছু কিছু না চাওয়াকেই নিষ্কাম বলে -শুধু তা নয়কো।
দিয়ে দাও, নিজের জন্য কিছু চেয়ো না, দেখবে , সব তোমার হয়ে যাচ্ছে।
[সত্যানুসরণ :১৯-২০]


তুমি অন্যের নিকট যেমন পেতে ইচ্ছা কর, অপরকেউ তেমনি দিতে চেষ্টা কর-এমনতর বুঝতে পারলেই যথেষ্ট -আপনি সব্বাই তোমাকে পছন্দ করবে, ভালবাসবে।
নিজে ঠিক থেকে সব্বাইকে সৎভাবে খুশি করতে চেষ্টা কর, দেখবে সবাই তোমাকে খুশি করতে চেষ্টা করছে। সাবধান, নিজস্ব হারিয়ে কাউকে খুশি করতে যেয়ো না, তাহলে তোমার দূর্গতির সীমা থাকবে না।
[সত্যানুসরণ :২০]


কাজ করে যাও কিন্তু আবদ্ধ হয়ো না। যদি বিষয়ের পরিবত্তনে তোমার হৃদয়ের পরিবর্তন আসছে বুঝতে পার, আর সে পরিবর্তন তোমার বাঞ্ছনীয় নয়, তবে ঠিক যেনো, তুমি আবদ্ধ হয়েছো।
কোনপ্রকার সংস্কারেই আবদ্ধ থেকো না, একমাত্র পরমপুরুষের সংস্কার ছাড়া যা কিছু সবই বন্ধন।
তোমার দর্শনের- জ্ঞানের পাল্লা যতটুকু অদৃষ্ট ঠিক তারই আগে ; দেখতে পাচ্ছ না, জানতে পাচ্ছ না, তাই অদৃষ্ট।
তোমার শয়তান অহংকারী আমিটাকে বের করে দাও; পরমপিতার ইচ্ছায় তুমি চল, অদৃষ্ট কিছুই করতে পারবে না। পরমপিতার ইচ্ছাই অদৃষ্ট।
তোমার সব অবস্থার ভিতর তার মঙ্গল ইচ্ছা বুঝতে চেষ্টা কর, দেখবে কাতর হবে না, বরং হৃদয়ে সবলতা আসবে, দুঃখেও আনন্দ পাবে।
কাজ করে যাও, অদৃষ্ট ভেবে ভেঙ্গে পড়ো না; আলসে হয়ো না, যেমন কাজ করবে তোমার অদৃষ্ট তেমনি হয়ে দৃষ্ট হবেন। সৎকর্ম্মীর কখনো অকল্যান হয় না। একদিন আগে আর পাছে।
পরমপিতার দিকে তাকিয়ে কাজ করে যাও। তার ইচ্ছাই অদৃষ্ট। তা'ছাড়া আর একটা অদৃষ্ট -ফদৃষ্ট বানিয়ে বেকুব হয়ে বসে থেকো না। অনেক লোক অদৃষ্টে নেই বলে হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকে, অথচ নির্ভরতাও নেই, শেষে সারা জীবন দূর্দ্দশায় কাটায়, ও সব আহাম্মকী।
তোমার তুমি গেলেই অদৃষ্ট ফুরুলো, দর্শনও নাই, অদৃষ্টও নাই।
[সত্যানুসরণ :২০-২২]

No comments:

Post a Comment