Tuesday, June 16, 2015

একাদশী পালনের পদ্ধতি

একাদশীতে পাঁচ প্রকার
রবিশস্য গ্রহণ করতে নিষেধ
করা হইয়াছেঃ ১. ধান জাতীয় সকল প্রকার
খাদ্য যেমন - চাউল, মুড়ি,
চিড়া, সুজি, পায়েস, খিচুড়ি,
চাউলের পিঠা, খৈ ইত্যাদি।


২. গম জাতীয় সকল প্রকার
খাদ্য যেমন - আটা, ময়দা, সুজি, বেকারীর রুটি বা সকল
প্রকার বিস্কুট, হরলিকস
জাতীয় ইত্যাদি।
৩. যব বা ভূট্টা জাতীয় সকল
প্রকার খাদ্য যেমন - ছাতু,
খই, রুটি ইত্যাদি। ৪. ডাল জাতীয় সকল প্রকার
খাদ্য যেমন - মুগ, মাসকলাই,
খেসারী, মশরী, ছোলা, অড়হর,
ফেলন, মটরশুটি, বরবটী ও
শিম ইত্যাদি।
৫. সরিষা তৈল, সয়াবিন তৈল, তিল তৈল ইত্যাদি। উপরোক্ত পঞ্চ রবিশষ্য
যে কোন
একটি একাদশীতে গ্রহণ
করলে ব্রত নষ্ট হবে।
উল্লেখ্য যারা সাত্ত্বিক
আহাড়ী নন এবং চা, বিড়ি/ সিগারেট, পান,
কফি ইত্যাদি নেশা জাতীয়
গ্রহণ করেন একাদশী ব্রত
পালনের সময় কাল পর্যন্ত
ঐগুলি গ্রহণ না করাই ভাল।
একাদশী করলে যে কেবলমাত্র নিজের জীবনের সদ্-
উন্নতি হবে তা নয়
একাদশী ব্যক্তির প্রয়াত
পিতা/ মাতা নিজ
কর্মদোষে নরকবাসী হন
তবে সেই পুত্রই (একাদশী ব্রত)
পিতা মাতাকে নরক
থেকে উদ্ধার করতে পারে।
“ইন্দ্রিরা একাদশী”
আশ্বিনের কৃষ্ণা একাদশীর
নাম। যদি কেহ কোন বিধি নিষেধ পালন ছাড়াই
একাদশীর করার উদ্দেশ্যহীন
ভাবে (বাধ্যতামূলক)
তিথিতে উপবাস থাকে ও
রাত্রি জাগরন
করে তবে সে একাদশীর সম্পূর্ণ ফল পাবে।
একাদশীতে অন্ন ভোজন
করলে যেমন
নিজে নরকবাসী হবে অন্যকে ভোজন
করালেও নরকবাসী হবে।
কাজেই একাদশী পালন করা আমাদের প্রত্যেকের
কর্তব্য। একাদশী পারণ:
(একদশী তিথির পরদিন
উপবাস ব্রত ভাঙ্গার নিয়ম)
পঞ্জিকাতে একাদশী পারণের
(উপবাসের পরদিন সকালে)
যে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে সেই সময়ের
মধ্যে পঞ্চ রবিশষ্য
ভগবানকে নিবেদন
করে প্রসাদ গ্রহণ করে পারণ
করা একান্ত দরকার।
নতুবা একাদশীর কোন ফল লাভ হয় না। একাদশী ব্রত পালনের প্রকৃত
উদ্দেশ্য কেবল উপবাস
করা নয়, নিরন্তর
শ্রীভগবানের স্মরণ, মনন ও
শ্রবন কীর্ত্তনের
মাধ্যমে একাদশীর দিন অতিবাহিত করতে হয়।
একাদশী পালনের সময়
পরনিন্দা, পরিচর্চা,
মিথ্যা ভাষন, ক্রোধ,
দুরাচারী, স্ত্রী সহবাস
সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। বিঃদ্রঃ নিম্নোক্ত
বিষয়গুলোর প্রতিও
দৃষ্টি রাখা বাঞ্চনীয়-
• একাদশী ব্রতের আগের দিন
রাত ১২টার আগেই অন্ন ভোজন
সম্পন্ন করে নিলে সর্বোত্তম। • ঘুমানোর আগেই দাঁত ব্রাশ
করে দাঁত ও
মুখগহ্বরে লেগে থাকা সব
অন্ন পরিষ্কার
করে নেওয়া সর্বোত্তম ।
সকালে উঠে শুধু মুখ কুলি এবং স্নান করতে হয়।
• একাদশীতে সবজি কাটার
সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন
কোথাও কেটে না যায়।
একাদশীতে রক্তক্ষরণ
বর্জনীয়। দাঁত ব্রাশ করার সময় অনেকের রক্তক্ষরণ
হয়ে থাকে। তাই একাদশীর
আগের দিন রাতেই দাঁত
ভালভাবে ব্রাশ করে নেওয়াই
সর্বোত্তম।
• একাদশীতে চলমান একাদশীর মাহাত্ম্য
ভগবদ্ভক্তের শ্রীমুখ
হতে শ্রবণ অথবা সম্ভব
না হলে নিজেই
ভক্তিসহকারে পাঠ করতে হয়।
• যারা একাদশীতে একাদশী প্রসাদ
রান্না করেন তাদের পাঁচ
ফোড়ন ব্যাবহারে সতর্ক
থাকা উচিত। কারণ
পাঁচফোড়নে সরিষা ও তিল
থাকতে পারে যা বর্জনীয়। •
একাদশীতে শরীরে প্রসাধনী ব্যবহার
নিষিদ্ধ। তেল (শরীরে ও
মাথায়), সুগন্ধী, সাবান,
শেম্পু ইত্যাদি বর্জনীয়।
• সকল প্রকার ক্ষৌরকর্ম (শেভ করা এবং চুল ও নখ কাটা)
নিষিদ্ধ

2 comments:

  1. ধন্যবাদ তথ্যটি খুবই ভালো লাগলো....!.

    ReplyDelete
  2. এটা কোথায় বলা আছে।

    ReplyDelete