Sunday, May 17, 2015

******রাম কথা*****

ঋষি বিশ্বেশ্রবা আররাক্ষসী
নিকষার পুত্র ছিলেন রাক্ষসরাজ
রাবণ।রাবণ একাধারে ব্রহ্মা
ওশিবকে প্রসন্ন করে বরদান লাভকরে
অত্যাচারী হয়ে উঠে।রাবণ


নিজেকে ত্রিলোকেরস্বামী
হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করে।
সে ভগবান বিষ্ণুর উপাসকদেরঘরবাড়ি
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়,মন্দিরেরবিগ
্রহ ভেঙে ফেলে,অসংখ্যমুনি ঋষিদের
বধ করে চারদিকে তার আধিপত্য
বিস্তার করে।দেবতারা ব্রহ্মা ও
শিবেরসাথে বিষ্ণুলোকে গিয়ে
ভগবানবিষ্ণূর জয়গান করে তাকে
প্রসন্ন করেনও তাদের রক্ষার জন্য
প্রর্থনা করেন।ত্রিলোকের সকল
জীবের দুর্দশা দেখে ভগবান
রামচন্দ্ররূপে রাজা দশরথের ঘরে
ওমাতা লক্ষী সীতারূপে
জনকরাজেররাজ্যে অবতীর্ণ হন।রাজা
দশরথেরতিন পত্নীর ঘরে যথা
কৌশল্যারঘরে রাম (স্বয়ং ভগবান
বিষ্ণু),কৈকেয়ীর ঘরে ভরত
(পাঞ্চজন্যশঙ্খ),সুমিত্রার ঘরে (লক্ষণ
অনন্ত নাগ)ওশত্রুঘ্ন(সুদর্শন চক্র) রূপে
অবতীর্ণ হন।দেবাদিদেব শিব ভগবান
রামচন্দ্রেরসেবা করার জন্য
হনুমানরূপে অঞ্জলী ও কেশ্রী নন্দন
হনুমানরূপে অবতীর্ণ হলেন।রামচন্দ্রম
হর্ষি বশিষ্ঠ ও বিশ্বামিত্রের
কাছথেকে শাস্ত্র ওশস্ত্রবিদ্যা
শিখে যথাসময়ে জনকনন্দিনী
সীতারসাথে বিবাহ সম্পন্ন করেন।
রামচন্দ্রেররাজ্যাভিষেকের সময়
মন্থরার কুপরামর্শে কৈকেয়ী তাতে
বাধা দেয়ও পিতৃসত্য রক্ষার জন্য রাম
বনে যায়।রামন্দ্রের
পাদুকসিংহাসনে রেখে ভরত
অযোধ্যাররাজ্য শাসন করতে থাকেন।
বনবাসে রাবণ সীতাকে হরণ করে
স্বর্ণের মৃগের ছলনা দ্বারা।রামহনুমা
নের সাথে মিলিত হয় ওসুগ্রীবের
সাথে মিত্রতা করে ওসীতার সন্ধান
পায়।সাগরের উপরপাথর ও বৃক্ষ দিয়ে
সেতুতৈরি করে লঙ্কায় পৌঁছে।
বিভীষণের সহযোগীতায়
রামরাবণের সৈন্য সম্পর্কে অবহিত হয়।
রাবণের রাক্ষস সৈন্যদের বধ করে
রামও রাবণের মধ্যে যুদ্ধ আরম্ভ হয়।
হনুমান ব্রাহ্মণেরবেশে ছলনা করে
রাবণের মৃত্যুবাণ হরণ করে।রাম ঐ
মৃত্যুবাণ প্রয়োগকরে রাবণকে বধকরে
ধরিত্রী হতে অত্যাচারের নাশকরে
ও মানব জীবনে চলারআদর্শ মার্গ
প্রদর্শন করে।রাম অয়োধ্যায় রাম
রাজত্য স্থাপনকরে যেখানে
প্রজারা সুখে -স্বাচ্ছন্দে দিন
কাটাতে থাকে ওজগত্ সংসারে
তিনি পুরুষোত্তমভগবান রামচন্দ্ররূপে
প্রসিদ্ধ হন।ভগবানবিষ্ণু ধরিত্রীতে
অবতীর্ণ হলেন রামরূপ ধরি ,তাই তার
চরণেরআমি বন্দনা করি।জয় শ্রী রাম।।

1 comment: